Description
সাধারণত সুন্দরবনে যে সকল ফুলের মধু পাওয়া যায় তাদের মধ্যে খলিশা, গড়ান, কেওড়া ও বাইন গাছের ফুল প্রধান। সুন্দরবনের মধু বলতে আমরা এই চারটি ফুলের মধুর কথা বলে থাকি। তো মধুর সিজন চলাকালীন চাক থেকে যে মধু সংগ্রহ করা হয় তাতে এই চারটি ফুলের নির্যাস, স্বাদ ও বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে।
ঘ্রাণ
সুন্দরবনের মিশ্র মধু এত নাম ডাক হওয়ার পেছনে এর অসাধারণ ঘ্রাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত সুন্দরবনের মধু হচ্ছে হরেক রকমের সংমিশ্রণ, যার প্রতিটি ফুলের আলাদা আলাদা ঘ্রাণ ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই বৈচিত্র্যময় মধু থেকে উত্পন্ন সুঘ্রাণ অত্যন্ত মিষ্টি, আকর্ষণীয় এবং সতেজ। তাছাড়া এতে একেবারে প্রাকৃতিক ও সুমধুর হালকা টক টক ঘ্রাণও থাকে, যা স্বাদে অতুলনীয় এবং সত্যিই মনোমুগ্ধকর ।নিরাপদ করে জাতকরন করা হয়
স্বাদ
স্বাদের দিক থেকে, সুন্দরবনের মিশ্র মধু (Sundarban Honey) অসাধারণ এবং বিশেষ। অন্যান্য মধুর তুলনায়, এর স্বাদ একেবারেই আলাদা, কারণ এতে কেওড়া ফুলের মধু মিশ্রিত থাকে। এই ফুলের মধুর প্রাকৃতিক টকস্বাদ মধুকে দৃষ্টিনন্দন এবং অনন্য করে তোলে। কেওড়া ফুলের নেকটার (nectar) থাকার কারণে, এই মধুর স্বাদ কিছুটা টকটক হলেও, সাথে মিষ্টি এবং সুগন্ধী।
এছাড়া, সুন্দরবনের মধুর মধ্যে অত্যাধিক চিনির পরিবর্তে, এর মিষ্টতা কমপক্ষে ১ থেকে ১.৫ গুণ বেশি। এর মানে, আপনি পাবেন একেবারে প্রাকৃতিক এবং বিশ্বস্ত মধু যা স্বাস্থ্যকর এবং গুণগতভাবে উৎকৃষ্ট। এই মধুতে থাকা প্রাকৃতিক এনজাইম এবং খাদ্যগুণ আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
।
আর্দ্রতা
Sundarban Honey/ সুন্দরবনের মিশ্র মধু তে আর্দ্রতা বেশি থাকে। অর্থাৎ সমুদ্রের কাছাকাছি এলাকায় বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকে। এই কারণে সে সকল এলাকায় যে মধু উৎপন্ন হয় তা পাতলা ও হালকা রঙের হয়ে থাকে। এই কারণে সুন্দরবনের মধু পাতলা হয়। দীর্ঘমেয়াদী থাকে
প্রোটিনযুক্ত পোলেন মিশ্রিত
সুন্দরবনের মধুতে প্রোটিনযুক্ত পোলেন মিশ্রিত থাকে। এটি চাক থেকে মধু চেপে বের করার পর তা যে পাত্রে রাখা হয় তার ঠিক উপরে একটি লেয়ার বা আস্তরণ পরে। এটি সাধারণত প্রোটিনযুক্ত পোলেন বা গাদ নামে পরিচিত। যদি আপনি সরাসরি সুন্দরবনের আশেপাশের এলাকা থেকে এই মধু কিনেন তবে অবশ্যই এটি দেখে নিবেন। তবে অনলাইনে নিলে তারা এই স্তর ছেঁকে তারপর বোতলজাত করে। এই জন্য পোলেন না থাকলে বিভ্রান্ত হবেন না।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য মধু অনেক ভালো কাজ করে। বিশেষ করে সুন্দরবনের মধুতে বিভিন্ন ফুলের সংমিশ্রণ থাকায় তা রোগ প্রতিরোধ করার উপাদানে ভরপুর থাকে। বিশেষ করে এই মধুতে অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন, খনিজ ও বিভিন্ন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বিদ্যমান। এগুলো দেহের জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া দূর করে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করার সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
Sundarban Honey/ সুন্দরবনের মিশ্র মধু
মধু দেহের স্বাভাবিক রক্ত চলাচল করার জন্য যে যে উপাদান প্রয়োজন হয় তা সরবরাহ করে। বিশেষ করে সুন্দরবনের মধুতে এই সকল উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে। কারণ এক সাথে একটি মধুর মধ্যে এত এত ফুলের নেকটার থাকে না। অন্যান্য মধু শুধু একটি প্রধান ফুলের উপর নির্ভর করে তৈরি হয় কিন্তু সুন্দরবনের মধুর বিষয় একদম আলাদা। অর্থাৎ সুন্দরবনের মধু খেলে দেহের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় যা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
উপকারী
অনিদ্রার ভালো ওষুধ। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা–চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুম ও সম্মোহনের কাজ করে।
যৌন দুর্বলতায়: পুরুষদের মধ্যে যাঁদের যৌন দুর্বলতা রয়েছে, তাঁরা যদি প্রতিদিন মধু ও ছোলা মিশিয়ে খান, তাহলে বেশ উপকার পাবেন।
। এটা দাঁতের ওপর ব্যবহার করলে দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। দাঁতে পাথর জমাট বাঁধা রোধ করে এবং দাঁত পড়ে যাওয়াকে বিলম্বিত করে। মধু রক্তনালিকে সম্প্রসারিত করে দাঁতের মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
যদি মুখের ঘায়ের জন্য গর্ত হয়, এটি সেই গর্ত ভরাট করতে সাহায্য করে এবং সেখানে পুঁজ জমতে দেয় না। মধু মিশ্রিত পানি দিয়ে গড়গড়া করলে মাড়ির প্রদাহ দূর হয়।
পাকস্থলীর সুস্থতায়: মধু পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে এবং হজমের গোলমাল দূর করে। এর ব্যবহার হাইড্রোক্রলিক অ্যাসিড ক্ষরণ কমিয়ে দেয় বলে অরুচি, বমিভাব, বুকজ্বালা এগুলো দূর করা সম্ভব হয়।
তাপ উৎপাদনে: শীতের ঠান্ডায় এটি শরীরকে গরম রাখে। এক অথবা দুই চা–চামচ মধু এক কাপ ফুটানো পানির সঙ্গে খেলে শরীর ঝরঝরে ও তাজা থাকে।
পানিশূন্যতায়: ডায়রিয়া হলে এক লিটার পানিতে ৫০ মিলিলিটার মধু মিশিয়ে খেলে দেহে পানিশূন্যতা রোধ করা যায়। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে: চোখের জন্য ভালো। গাজরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।
রূপচর্চায়: মেয়েদের রূপচর্চার ক্ষেত্রে মাস্ক হিসেবে মধুর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। মুখের ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধির জন্যও মধু ব্যবহৃত হয়।
Reviews
There are no reviews yet.